সুঁইবিহীন ইনজেকশন
ইনজেকশনের সুঁইয়ের কথা চিন্তা করতেই ভয়ে শিউরে ওঠেন না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। সুঁইয়ের মাধ্যমে ইনজেকশন দেয়ার প্রক্রিয়াটি কষ্টকরও বটে, তবে কোনো কোনো সময় এই ইনজেকশন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আশার কথা হলো, হাইপোডার্মিক অর্থাৎ ত্বকের নিচে ইনজেকশনগুলোর জন্য আর সুঁইয়ের ব্যবহার অপরিহার্য থাকবে না। এতে ব্যথাও লাগবে কম। মাইক্রোসিশন নামের এই প্রক্রিয়াতে বাতাসের চাপই করবে সুইয়ের কাজ।
গর্ভাবস্থায় দাঁতের এক্স-রে গর্ভস্থ শিশুর জন্য খারাপ হতে পারে
গর্ভবতী মায়েদের এক্স-রে করানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। সাম্প্রতিককালে এক্স-রে করা নিয়ে প্রচলিত ধারণার সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আমেরিকান জার্নালের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট। রিপোর্টটিতে বলা হয়, গর্ভাবস্থায় দাঁতের জন্য মায়ের এক্স-রে করাও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলা গর্ভাবস্থায় দাঁতের এক্স-রে করিয়েছেন, তারা কম ওজনের শিশু প্রসব করেছেন। শুধু ওজনজনিত সমস্যাই নয়, এর ফলে শিশুদের মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা থাইরয়েড গ্লান্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা মনে করছেন, এক্স-রের কারণে মায়ের থাইরয়েড ঠিকমতো কাজ করে না, ফলে গর্ভস্থ শিশুর জটিলতা দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় দাঁতের এক্স-রে করানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
যত গুণ গাজরের
গাজর অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। ভিটামিন ‘এ’তে ভরপুর। কচুশাক, লালশাক, পুঁইশাক ও কলমিশাক ছাড়া অন্য সব শাকসবজি ও ফলের চেয়ে ভিটামিন ‘এ’ তথা ক্যারোটিন বেশি থাকে গাজরে। গাজর নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। গাজর শিশুদের রিকেট ও টিটানি রোগ প্রতিরোধ করে। এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। এ সবজিতে বেটাক্রোটন নামে একরকম জৈব রাসায়নিক উপাদান থাকে। এটি হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ হ্রাস করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন মধ্যম আকারের একটি গাজর খেলে মহিলাদের হার্টস্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে এবং পুরুষদের ১০ শতাংশ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। গাজরে লুটিনজাতীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মধ্যম আকৃতির ক’টি করে গাজর খেলে ফুসফুসে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ হ্রাস করে এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চোখের রোগ প্রতিরোধ করে। গাজর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আয়রনের অভাবে বুদ্ধি কমে যায়
বাংলাদেশের মেয়েদের যে সমস্যাটি অত্যন্ত পরিচিত, সেটি হলো আয়রনের অভাব। আর এই আয়রন সমস্যা থেকে হয় এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, আয়রনের অভাবের জন্য শুধু এনিমিয়াই নয়, মেয়েদের বুদ্ধিও লোপ পায়; সেই সাথে লোপ পায় স্বাভাবিক কাজ করার দক্ষতা। ১৮-৩৫ বছর বয়সী ১১৩ জন মহিলার ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধি খাটানোর মতো কাজে আয়রনের ঘাটতিসম্পন্ন মহিলাদের ভুলের পরিমাণ স্বাভাবিকদের চেয়ে দ্বিগুণ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS